ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ডিআইআইটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বদ্ধপরিকর। বর্তমান যুগে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি শুধু একটি পেশার ভিত্তি নয়, বরং এটি পেশাদার জীবনের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বা গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য ডিআইআইটির বিবিএ ডিপার্টমেন্ট আয়োজনে ‘ব্যবসায় যোগাযোগের ভূমিকা : একটি সফল পেশাদার ক্যারিয়ারের পথ’ শিরোনামে গত ১১ জুলাই বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শতাধিক শিক্ষার্থী। সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার জনাব ফারাবি হাফিজ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসেন, বিবিএ ডিপার্টমেন্টের প্রধান লক্ষণ চন্দ রবিদাসসহ বিভাগের অন্যান শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
ড. মোহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যোগাযোগ দক্ষতা। এই দক্ষতা একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার মধ্যেই অর্জন করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে। আর এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সেমিনারের শুরুতে প্রধান বক্তা উন্নত দেশসমূহের শিক্ষাব্যবস্থার উপর তুলনামূলক আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন উন্নত দেশসমূহে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজে যোগাযোগের কৌশলসমূহ আয়ত্ত ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। তিনি বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। এ প্রতিবন্ধকতার মূল কারণ হলো মানুষের শেখার অভিজ্ঞতা। মানুষ শিখে বিভিন্ন পরিবেশ থেকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে, সংস্কৃতি থেকে, যার ফলে একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের তেমন একটা মিল হয় না, তাদের মধ্যে পার্থক্য থেকেই যায়। তাই, বিশ্বায়নের এই যুগে যোগাযোগের কৌশলগুলো শিখতে হবে। কারণ সঠিক তথ্য, সময় এবং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী যোগাযোগের কৌশলগুলো আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য মৌখিক ও শারীরিক অভিব্যক্তি এবং ডিজিটাল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ইমোজি ব্যবহারের গুরুত্ব আরোপ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।