বর্তমান অর্থনীতিতে সারা বিশ্বে ব্যাপক ব্যবসায়ীক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে চীন । দ্রুত ও ক্রমবর্ধমান এবং ভোক্তার চাহিদা নির্ভর হওয়ায় চীনা বাজারে বিশ্বব্যাপী উদ্যেক্তাদের জন্য রয়েছে ওপার সম্ভাবনা। আর তা এই তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে সকলের নিকট সহজ করে দিয়েছে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম।
তাঁর ই আলোকে দেশে তরুণ উদ্যাক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং চীনের সাথে ব্যবসায়ীক মনোভাব প্রতিষ্ঠিত করতে রাজধানী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডাফোডিল ইনস্টিটিউট অফ আইটি (ডিআইআইটি)-এর উদ্যোগে ““ই-কমার্স ফর ডুয়িং বিজনেস উইথ চায়না” ” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়াজন করা হয়।
গত ১৩ই জুন ২০২৩,মঙ্গলবার রাজধানী ধানমন্ডি সোবাহানবাগ ড্যাফোডিল প্লাজায় এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঃ ইউ জুয়েশান আরজেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা উন্নয়ন পরামর্শদাতা, হাইনান কলেজ অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস। যিনি চীনা ই-কমার্স স্পেসে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। তিনি ডিআইআইটির অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর উপস্থিতিতে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে তাঁর বহু বছরের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত দক্ষতা ও জ্ঞান এবং চীনা অনলাইন শপিং এবং ই-কমার্স জনপ্রিয়তা এবং উভয় দেশের সাথে ব্যবসায়ীক পদ্ধতির উপর আলোকপাত করেন। চীনের সাথে কিভাবে ই-কমার্স এর মাধ্যমে ব্যবসা করার বিশাল সুযোগ রয়েছে তা উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে ইকমার্স ব্যবসার পদ্ধতি নিয়ে সকলের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়।
এছাড়া মিঃ হুন্ডা ওয়েই, প্রফেসর এবং ডিন, হাইনান কলেজ অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস। তিনি ভার্চুয়ালী এই কর্মশালায় যোগদান করেন।
কর্মশালায় ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব আইটি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পূর্নাঙ্গ ই-কমার্স সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং তা বাস্তবায়নের করতে পারলে এর মাধ্যমে যে কেউ দেশের অর্থনৈতিক অবদান নিশ্চিত করতে এবং সব ধরনের ব্যবসা থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল ই-কমার্সের মাধ্যমে চীনের মতো একটি শক্তিশালী ও বিশ্ববাপী বিস্তৃত বাজারে প্রবেশের লক্ষনীয় নীতিমালা, পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয়গুলি সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় জান ও কৌশল গুলির সাথে পরিচিতি করা। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সংযুক্তি বাড়াতে এবং ব্যবসার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগকে কাজে লাগাতে উপস্থিত সকলকে উৎসাহিত করা। এ সংযোগের মধ্য দিয়ে সহযোগিতা ও অংশীদারীত্বের সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা চীনের বাজারে অংশগ্রহণকারীদের সাফল্যের সম্ভাবনাকে আরোও বাড়িয়ে তোলে।