এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, যদিও আমি কষ্টের মধ্যেও আনন্দের কথা বলছি। যেভাবে বাংলাদেশের সকল জনগণ বন্যার্তদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, আল্লাহ্ তায়ালা অবশ্যই আমাদের সহায় হবেন। সাথে সাথে আমি সবাইকে এই কথাও বলতে চাই যে, আজ ভারত যেভাবে বাঁধ তৈরি করে বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলেছে, তার থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরও নিজেদের বাঁধ তৈরি করতে হবে। আমরা চাইলে এরকম আরও ১০টা ফারাক্কা বাঁধের সমতুল্য বাঁধ তৈরি করতে পারি।
যদি আমরা সবাই আমাদের একদিনের( ১ দিনের ) বেতন/মুজুরী/ব্যবসায়ীক টাকা দিয়ে এই কাজে অবদান রাখি, তাহলে সরকারের তেমন কিছু করার প্রয়োজন হবে না—আমরাই সফল হবো। ডাচ বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে আমরা এমন একটি শক্তিশালী বাঁধ তৈরি করব, যা এই আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি এবং মানুষের দুর্দশা থেকে মুক্তি দেবে।
আজকের দিনে বাংলার মানুষ একতাবদ্ধ হয়েছে—হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ছাত্র, এবং জনতা সবাই মিলে আমরা এই বাঁধ নির্মাণে এগিয়ে আসবো। বাংলাদেশের মানুষ বীর; আমরা স্বাধীন, এবং স্বাধীনভাবেই থাকতে চাই। আমরা কারো প্রতি মাথা নত করব না, এবং আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে আমরা এগিয়ে যাবো, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ।
প্রোফেসর ড. মোঃ শাখাওয়াত হোসেন
অধ্যক্ষ, ডিআইআইটি।